পবিত্র ভগবতি প্রচারের মর্যাদার সঙ্গে নির্জন ভজন অনুশীলনের তুলনা প্রসঙ্গে এবং কোন ধরনের ভক্তের পক্ষে কোন্ পদ্ধতি প্রযোজ্য, তা নিয়ে অনেক সময়ে বিভ্রান্তি জাগে। সাধারণ অনভিজ্ঞ, লোকের কাছে মনে হতে পারে যে, শ্রীকৃষ্ণভাবনাময় নানা ধরনের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে জড়- জাগতিক ক্রিয়াকলাপেই নিয়োজিত হয়ে রয়েছে। পক্ষান্তরে, কোনও শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ নিঃসঙ্গ ধ্যানাবিষ্ট ভক্ত নিভৃতে আপাত তপশ্চর্যা ও কৃচ্ছতা পালন করলে স্পষ্টত তাকে বেশি পারমার্থিক ভাবাপন্ন বলেই মনে হয়। শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামের মহিমা প্রচারের এবং নির্জন ভজন অনুশীলনের প্রকৃত মর্যাদা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষা দেওয়া হয়েছে “বৈষ্ণব কে?” গ্রন্থটিতে। অবিদ্যার মায়া সমুদ্রে পতিত মানুষকে আলোর নিশানা দেবার উদ্দেশ্যেই শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর “বৈষ্ণব কে?” গ্রন্থখানি লিখেছিলেন। ভগবদ্ভক্ত হওয়ার উপযোগিতা সম্বন্ধে এবং কেমনভাবে ভক্তিযোগ অনুশীলন করতে হয়, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা সম্বলিত অনেক গ্রন্থ আছে। “বৈষ্ণব কে?” গ্রন্থখানিকে অমূল্য ভগবদ্ভক্তিমূলক একটি মণিরত্ন বলে মনে করা হয়ে থাকে, কেননা ভক্তিযোগ অনুশীলনে নিয়োজিত ভক্তবৃন্দের কাছে এটির মূল্য অপরিসীম। এর মাধ্যমে যে শুধু ভগবদ্ভক্তির উপযোগিতাই বোঝানো হয়েছে তা নয়, ভক্ত হবার পরে কিভাবে ভগবৎ সেবায় অবিচল থাকতে হয়, সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। সদ্য ভগবদ্ভক্তি অনুশীলনে ব্রতী নবীন ভক্ত এবং অভিজ্ঞ প্রবীণ ভক্ত, উভয়ের কাছেই “বৈষ্ণব কে?” গ্রন্থখানি অবশ্য পাঠ্য; মায়ার সমস্ত সূক্ষ্ম চাতুরীর দ্বারা ভক্তবৃন্দ শুদ্ধ ভগবদ্ভক্তির পথে যে প্রায়ই বিভ্রান্ত হয়ে থাকে, সে বিষয়ে জানতে পেরে উভয়েই উপকৃত হবে। তাছাড়া, যারা শুদ্ধ ভক্তকে নির্ণয় করার পদ্ধতি সম্বন্ধে জানতে চায়, তারা এই গ্রন্থখানিকে বারবার পড়ার মতো একান্ত সম্পদরূপেই কাছে রাখতে চাইবে।
ISBN 978-93-86956-38-5
Reviews
There are no reviews yet.